আপনি যদি টেক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান, সঠিক স্কিল বেছে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো কিভাবে বেছে নিবেন সঠিক স্কিল এবং কিভাবে তা আপগ্রেড করবেন? কিভাবেই বা নিজেকে প্রস্তুত করবেন এই বিশাল টেক ইন্ডাস্ট্রিতে? চলুন জেনে নেই ১০ টি টিপস:
১. আপনি নিজে আগে অনুভব করার চেষ্টা করুন, আপনি কি কি বিষয়ে পারদর্শী। কি কি বিষয় আপনার সাথে যায়। কিংবা কি কি বিষয়ে আপনার ইন্টারেস্ট রয়েছে বা ভালো লাগে? শুধুমাত্র এইসব বিষয়েই শেখার চেষ্টা করুন। যে বিষয় আপনার ক্যারিয়ার/ স্কিল এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন না, সে বিষয়ে শেখার চেষ্টা করা মানে সময় নষ্ট করা। এগুলো পরিহার করুন। ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং, লিড জেনারেশন, SEO এর সমস্ত বিষয়ে আগ্রহী হয়ে শেখার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি জাভা দিয়ে প্রোগ্রাম লেখার জন্য ইউটিউব ঘাটাঘাটি করেন, ব্যাপারটা হবে সময় নষ্ট। এতে শুধু আপনার মুল্যবান সময়ই নষ্ট হবে। শেখা হবেনা কিছুই। আর কিছু শিখলেও সেটা আপনার কখনো কাজে লাগবে না।
২. অন্যের কথা কিংবা সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আপনার অর্জিত স্কিল ছেড়ে অন্য সেক্টরে কখনোই শিফট করবেন না। তবে নিজের যদি বিজনেস থাকে তাহলে সকল স্কিল সম্পর্কে কিছু কিছু ধারণা রাখতে পারেন, এতে আপনার এমপ্লয়ী চালাতে সুবিধা হবে।
৩. শিখতে গিয়ে অনেক জায়গায় আটকে যাবেন, মনে প্রশ্ন আসবে। জিজ্ঞাসা করুন প্রচুর। প্রয়োজনে একাধিক মানুষকে প্রশ্ন করুন। কোন না কোন সোর্স থেকে আপনি উত্তর পাবেনই। অনলাইনে অনেক বিষয়ে এক্সপার্ট আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন। কেউ বিরক্ত হলে তাকে সরি বলে অন্য আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করুন। অনলাইনে ঘাটাঘাটি করুন, আপনি উত্তর পাবেন ই
৪. নতুন কিছু করতে গিয়ে ভুল করতে ভয় পেলে চলবেনা। ভুল করুন। ভুল থেকেই আপনি শিখতে পারবেন। ভুল না করলে আপনি অনেক কিছু থেকেই পিছিয়ে থাকববেন।
৫. প্রতিনিয়ত আপনার স্কিল আপগ্রেড করুন, আপনার সেক্টরের নতুন কিছু শিখুন। নতুন টেকনোলজি নিয়ে জানুন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার সেক্টরের টুইটার ও লিঙ্কেডিন এর বিভিন্ন গ্রুপ এ যুক্ত থেকে নতুন টেকনোলজি ও মেথডোলজি সম্পর্কে জানতে পারবেন।
৬. প্রথমেই পর্যাপ্ত সময় নিয়ে কাজ শেখার পরে কিছু বাস্তবধর্মী প্রোজেক্ট তৈরি করুন। অর্থাৎ এতদিন ধরে আপনি যে বিষয়ে শিখলেন সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে কিছু প্রোজেক্ট তৈরি করতে হবে। এই প্রজেক্টগুলো একাধারে আপনার স্কিল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং আপনার পোর্টফলিও স্ট্রং করবে।
৭. আপনি শুরুতে কিছু প্রজেক্ট ক্লোন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে বিহান্স/ ফ্রি পিক এর কিছু প্রজেক্ট দেখে দেখে অনুকরণ করুন। এছাড়াও আপনি Freelancer.com মার্কেটপ্লেসে কিছু কনটেস্ট এ এটেন্ড করুন। কিংবা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ জব প্রপোসালে ক্লায়েন্ট রিকুইরেমেন্ট দেখে নিজে নিজে প্রজেক্ট করার চেষ্টা করুন।
৮. এছাড়াও প্রোজেক্ট তৈরি করার জন্য আপনি গুগল থেকে আইডিয়া নিতে পারেন বা কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য ফেসবুক থেকে আপনার শেখা বিষয়ের উপর এক্সপার্ট এমন কারো সাথে ফ্রিতে কাজ করুন। এতে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং সরাসরি ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার কনফিডেন্স পাবেন।
৯. সব শেষে আপনার প্রজেক্ট গুলোকে পোর্টফোলিও আকারে সাজিয়ে behance / dribbble / Flickr কিংবা Pixpa তে আপলোড করে রাখুন। যা আপনার ক্লায়েন্টকে দেখতে পারবেন। সেটা হতে পারে লোকাল জব, রিমোট জব কিংবা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে।
১০. নিজের স্কিল ও দক্ষতার উপর চমৎকার একটি resume তৈরী করুন। এক্ষেত্রে resume.io, resumebuild.com কিংবা লিঙ্কেডিন প্রোফাইল সাজিয়েও resume ডাউনলোড করতে পারেন। এবার আপনি চিন্তা করুন আপনি লোকাল জব করবেন? নাকি রিমোট জব করবেন? নাকি ফ্রিল্যান্সিং করবেন? নাকি নিজের প্রোডাক্ট তৈরী করবেন? এবার আপনার চাওয়া অনুযায়ী নিজেকে তৈরী করুন। ধন্যবাদ।